জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম শহরের কলেজপাড়ায় একটি বাড়ির উঠোনে সুঁই ফোটানো পুতুল পাওয়া গেছে। সকালে দরজা খুলতেই এ পুতুল পাওয়া যায়। আর এ রহস্যময় পুতুল নিয়ে আতঙ্কিত বাড়ির লোকজন।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ওই এলাকার মৃত মাজেদুল ইসলামের বাড়িতে। বাড়ির লোকজন দরজা খুলে উঠোনের মধ্যে পুতুলটি দেখতে পান। সাদা ও লাল রঙের পুতুলে ১০১টি সুঁই ফোটানো অবস্থায় ছিল। পুতুলটি হাতে নিয়ে চমকে ওঠেন বাড়ির লোকজন। কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুতুলের গায়ে এতগুলো সুঁই ফোটানো অবস্থায় দেখে।
পরে প্রতিবেশীরা এসে বিষয়টি লক্ষ্য করে নানান মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, পরিবারের সদস্যদের জাদুটোনা করার জন্য এ কাজ করা হয়ে থাকতে পারে। প্রতিবেশীদের কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবারটি।
বাড়ির বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৩৬) জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হই। পরে বাড়ি এসে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করছিলাম। এ সময় হঠাৎ আমার মেয়ের চোখে পড়ে পুতুলটি। সে পুতুলটি তুলতে গিয়ে দেখে পুতুলের সারা শরীরে সুঁই ফোটানে। পরে আমার ভাইকে ও প্রতিবেশীদের খবর দেই।
তিনি আরও জানান, আমাদের কারো সঙ্গে কোনো ঝগড়া-বিবাদ নাই। কেন মানুষ এমনটা করল, এটা নিয়ে আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।
প্রতিবেশী ফিরোজ আলম মনু জানান, পৌর শহরের মধ্যে এমন একটি পুতুল পেয়ে সবাই হতবাক হয়ে গেছি। এই যুগেও কেউ এমন ধরনের কাজ করতে পারে এটা আমাদের ধারণার মধ্যে ছিল না। এখন সবাই আসছে এ পুতুল দেখতে।
কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতারণা করার জন্য কিছু মানুষ এ ধরনের কাজ করে আসছে। যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ভিকটিমকে ধারণা দেওয়া হয় এই সুই পুতুলের শরীরে ফোটালে শত্রুর শরীরে গিয়ে আঘাত লাগবে। যাকে স্থানীয়ভাবে বান মারা বলা হয়ে থাকে। যার আদৌ কোনো সত্যতা নেই। কিছু মানুষ ব্যক্তি স্বার্থে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য এসব কাজ করে থাকেন; যা বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত নয়।